জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তবর্তী যাদুকাটা নদীর উপর আগামী নভেম্বর-ডিসেম্ভরে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে এ সেতুটির কাজ শুরু হবে। এ সেতুটি হবে এলজিইডির বাস্তবায়িত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু। এই খবরে হাওর বেষ্টিত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সুনামগঞ্জ জেলার দশ লক্ষাধিক জনসাধারনের শত কষ্টের মাঝে বাচাঁর স্বপ্ন আবারও জেগে উঠেছে। গত ৪ জুলাই এই সেতটিুর দরপত্র প্রকাশের পর খবর প্রকাশ পাওয়ায় তাহিরপুর,ধর্মপাশা,মধ্যনগড়,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হাওরবাসীর মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। জানাযায়,জেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে জেলার ১২টি সেতুর মধ্যে ৮টি সেতু গত ১০ই জানুয়ারী মঙ্গলবার প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮টি সেতু অনুমোদন করেন। এর মধ্যে এই সেতুটি একটি। এ সেতুটি ১৫০কোটি টাকা ব্যয়ের ৭৫০মিটার লম্বা ও ১৮মিটার প্রশস্থ বহু প্রত্যাশিত শাহ-আরেফিন সেতু নির্মান হচ্ছে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে। এই উপজেলা গুলোতে সেতু ও সড়ক পথে ভাল যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকায় জনসাধারন জেলা সদরের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারত না। এছাড়াও এ সেতুটি বাস্থবায়ন হলে সড়ক পথের মাধ্যমে ট্যাকেঘাট,চারাগাওঁ ও বাগলী শুল্কষ্ঠেশন থেকে ঢাকা সহ সমগ্র বাংলাদেশে চুনাপাথর ও কয়লা পরিবহনে সহজ হবে। বর্তমানে নৌপথ ছাড়া অন্য কোন ব্যবস্থা নেই। আরো জানাযায়,এ সেতুটির মাঝ অংশে একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মান করা হবে। যাতে করে এ ওয়াচ টাওয়ারে দাড়িয়ে মেঘালয় পাহাড়,যাদুকাটা নদীর ও বারেক টিলার অপরুপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারে সহজে প্রকৃতি প্রেমীরা। শাহ-আরেফিন সেতু নির্মান হলে তাহিরপুর,ধর্মপাশা,মধ্যনগড় (থানা) ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক পরির্বতন হবে। সেই সাথে এই এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মুচিত হবে। তাহিরপুর উপজেলার সাদেক আলী,মেহেদী হাসান,আবির হাসান,সবুজ আলম সহ এলাকাবাসী আনন্দের সাথে জানান,এই সেতুটি নির্মিত হলে রাজধানীর সাথেও সড়ক পথে সহজে যোগাযোগ ও সীমান্ত এলাকা লাউড়েরগড় হয়ে যাদুকাটা নদী,শিমুল বাগান,বারেকটিলা,ট্যাকেঘাট সীমান্ত লেক,জিরো পয়েন্ট,টাংগুয়ার হাওর,মেঘালয় পাহাড়ের নয়ানাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান গুলো আরো আকর্শনীয় হবে। এবং পর্যটক ও প্রকৃতি প্রেমীদের মিলন মেলায় পরিনত হবে। এই সেতু কাজ সঠিক ভাবে দ্রুত শুরু করার দাবী জানাই। বাদাঘাট ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন,উপজেলা আ,লীগ নেতা ও বাদাঘাট বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সেলিম হায়দার ও উত্তর বড়দল ইউনিয়ন আ,লীগ নেতা ও বাদাঘাট বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মাসুক মিয়া জানান,বহু প্রতিক্ষিত যাদুকাটা নদীর উপর শাহ-আরেফিন সেতু এখন বাস্থবায়িত হলে এই এলাকার লাখ লাখ জনসাধারনের জীবন যাত্রার মান অমূল্য পরিবর্তন হবে। সেতুটির নির্মানের দাবী পুরন হল শুধু মাত্র আমাদের সুনামগঞ্জ ১আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জোম হোসেন রতন সাহেবের চেষ্টায়। সেতুটি দ্রুত বাস্থবায়নের বাদী জানাই এবং এলাকাবাসী ও উপজেলা আ,লীগেরর পক্ষ থেকে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কে ধন্যবাদ জানাই। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,যাদুকাটা নদীর উপর সেতুটি বাস্থবায়ন হলে সীমান্ত এলাকা ও পর্যটন স্পট গুলো আরো আকর্শনীয় হবে। দেশের অন্যান্য সেতুর মধ্যে এই সেতুটি হবে সবচেয়ে বড়,দৃষ্টি নন্দন ও আকর্শনীয় তাহিরপুর উপজেলাবাসীর স্বপ্নের সেতু। সুনামগঞ্জ ১আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জোম হোসেন রতন বলেন,হাওরবাসীর অসুবিধার কথা চিন্তা করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন এই ৮টি সেতু একনেকে অনুমোদন দিয়েছেন। তার মধ্যে যাদুকাটা নদীর উপর শাহ আরেফিন সেতু একটি। এই সেতুটি কাজ খুব শীর্ঘই শুরু হবে।